ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার পাচ্ছেন পিপিএম পদক

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ::    কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদাসম্পন্ন পিপিএম (প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল ) পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন। সদর মডেল থানায় আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে বিশেষ অবদান রাখায় সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরুপ শ্রেষ্ঠত্বের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে এ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারী জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত দের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় পুলিশ সেবা সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জাতীয় পুলিশ প্যারেড ও কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করার কথা রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকারসহ পুলিশের রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের এই গৌরবময় সম্মাননা প্রদান করতে পারেন বলে জেলা পুলিশ সুত্রে প্রকাশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার যোগদানের পর থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধাওে রেকর্ড পরিমাণ ভূমিকা পালন করেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার আওতাভুক্ত সকল ইউনিয়নকে ্সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি সাদন করেন। দিন রাত পরিশ্রম করে সদর মডেল থানাকে মডেল থানা রুপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। মাদককে জিরো টলারেন্সে পরিণত করতে তার টিমকে সাথে নিয়ে প্রাত্যহিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। কক্সবাজার সদর থানায় বিপদগ্রস্ত মানুষ যাতে তার প্রাপ্য সেবা পায় সে ব্যাপারে ওসির রয়েছে সুদৃষ্টি। ফলশ্রুতিতে, সাফল্যের কৃতিত্ব সরুপ প্রেসিডেন্ট অফ পুলিশ মেডেল পদকে ভূষিত হন। তারঁ কাজের সফলতাস্বরুপ কক্সবাজার জেলায় ৩ বার শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কারসহ বিভিন্ন থানায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কারও লাভ করেন।

গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পরথেকে তিনি সদর মডেল থানাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে এবং অস্ত্র উদ্ধার সহ বিভিন্ন মামলার ১৭৭০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। রেকর্ড অনুযায়ী গত ১ বছরে ইয়াবা ১১ লাখ দশ হাজার চারশো পিস, গাঁজা ৪৭ কেজি ৩০০ গ্রাম, বিদেশী বিয়ার ১২ বোতল, রাম ৪৬ বোতল, চোলাই মদ ১৭৮২ লিটার এবং ফেনসিডিল ৪৬ বোতল উদ্ধার করে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি তিনি আইনশৃংখলা পরিস্থিতিকে রেখেছেন স্বাভাবিক।

প্রসংগত, চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন খন্দকারের জন্ম বাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার কসবা থানার এক সভ্রান্ত পরিবারে। ১৯৯১ সালে সাব- ইন্সপেক্টর পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন তিনি। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হয়ে বিভিন্ন থানায় সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ অফিসার ইনচার্জ হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যোগদান করে তারঁ সফলতা অক্ষুন্ন রেখেছেন।

—————–

পাঠকের মতামত: